সাগরে ট্রলার ডুবি, প্রাণে রক্ষা পেলেন পাথরঘাটার ১৮ মাঝিমাল্লা

বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পরে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ট্রলারে থাকা ১৮ মাঝিমাল্লা।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।

‎মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সকালে পাথরঘাটা মৎস্যঘাট থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যায় এফবি আবদুল্লাহ তুফান। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় হঠাৎ প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও উঁচু ঢেউয়ে ট্রলারটি দুলতে দুলতে একপর্যায়ে উল্টে ডুবে যায়। এরপর সাগরে ভাসতে থাকে ১৮ মাঝিমাল্লারা।

এ সময় কাছেই থাকা আরেকটি ট্রলার ভেসে থাকা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। ভাগ্যক্রমে এবার সবাই বেঁচে গেছেন। তবে বড় ক্ষতি হয়েছে ট্রলার মালিকের।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ‎উদ্ধার হওয়া মাঝিমাল্লাদের কুয়াকাটার মহিপুরে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবাই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তাদের সকলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।

‎ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি আবদুল্লাহ তুফান পাথরঘাটা উপজেলার সগির কোম্পানির মালিকানাধীন। ট্রলারটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। ট্রলারসহ জালে ধরা মাছ ও যন্ত্রপাতি সবই সাগরে তলিয়ে গেছে।

‎স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে প্রায়ই আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া ও অস্বাভাবিক ঢেউ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া সমুদ্রে যাওয়ার আগে আবহাওয়া পূর্বাভাস অনেক সময় সঠিকভাবে জেলেদের কাছে পৌঁছায় না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

‎জেলেদের দাবি, সাগরে নামার আগে আবহাওয়া পূর্বাভাস আরও কার্যকরভাবে প্রচার করা এবং উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই এ ধরনের দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে।