মাত্র আট দিনের ব্যবধানে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এলো একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। পুরুষ প্রজাতির ডলফিনটি প্রায় সাত ফুট লম্বা। ভেসে আসা মৃত ডলফিনটির পুরো শরীরের চামড়া উঠে গেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকার রেইন্ট্রি বাগান সংলগ্ন স্থানে ডলফিনটি দেখা যায়। পরে ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জামাল বন বিভাগকে জানালে তারা ডলফিনটির দাফনের ব্যবস্থা করে। এসময় উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরার) সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর একই সৈকতের চর-গঙ্গামতি এলাকার ৩৩ কানি পয়েন্টে আরও একটি ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।
উপরার আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু বলেন, ‘সকালের জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল থাকে। এ কারণে ঢেউয়ের সাথে ডলফিনটি তীরে ভেসে এসেছে। এর শরীরের পুরো চামড়া উঠে গেছে, দুর্গন্ধে কাছে যাওয়া যায় না। দেখে মনে হচ্ছে অন্তত দুই দিন আগে মারা গেছে।’
পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুয়াকাটাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় মৃত ডলফিন ভেসে আসার ঘটনা বাড়ছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১টি, ২০২৪ সালে ১০টি এবং ২০২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক বলেন, ‘শুধু অনুমানের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। কেউ বলছেন জালে আটকে, কেউ বলছেন জাহাজের ধাক্কা, আবার কেউ বলছেন মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব। তবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
কুয়াকাটা বনবিভাগ বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্প্রতি প্রায়ই এসব মৃত ডলফিনের দেখা মিলছে। উপরার সদস্যদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেই এবং মাটিচাপা দিই, যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।’