শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির অঙ্গীকার নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় হাজির হয়েছেন পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আল্লামা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।
ইতোমধ্যে তিনি উঠান বৈঠক, কর্মী সভা, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগসহ ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি মনোনীত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মাসুদ সাঈদী তার নির্বাচনি এলাকার ৩টি উপজেলাতেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন, যা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররাও তার হাতে হাত রেখে জামায়াতে যোগ দিয়ে তার পাশে থাকা ও তার নির্বাচনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন, যেমনটি তার পিতার নির্বাচনকালীন সময়েও হয়েছিল।
এদিকে মাসুদ সাঈদী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তার নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়গুলো হলো-
পিরোজপুরকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণাসহ স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষকদের সহায়তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা।
পিরোজপুর-১ আসনের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা সমাধান উন্নয়নসহ ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা বৃদ্ধি ও হাসপাতালে তাদের নিয়মিত অবস্থান নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ভেঙ্গে পড়া সড়ক ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, সেতু ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা।
এছাড়া জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ আসনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা। অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত পিরোজপুর পৌরসভায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা, আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যাবস্থা, রাস্তাঘাট প্রশস্ত করা, আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন করা। পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও জিয়ানগর উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকাকে চিহ্নিত করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সন্ত্রাস-সহিংসতা, চাঁদাবাজি বন্ধ করে জনগণের জান-মাল এবং আবাসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যুবক ও শিক্ষিত বেকার তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি সহায়তা, কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা। তরুণ যুবকদের মেধা ও স্বাস্থ্য বিকাশে প্রতিটি এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইব্রেরি, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা করা। নারীদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষায় সামাজিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণসহ সুবিধাবঞ্চিত অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, কর্মে অদক্ষ নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনমূলক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্ম পালনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনকে একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে এককভাবে (জোটবিহীন) এমপি নির্বাচনে আমার শহীদ পিতা আল্লামা সাঈদী রহ. সকল ধর্মের-বর্ণের, শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেন। ২০০১ সালে আমার আব্বা জোটবদ্ধ নির্বাচন করে পুনরায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে এই পিরোজপুরের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন, যে কারণে তাকে পিরোজপুর উন্নয়নের রূপকার বলা হয়।
যদিও পরবর্তীতে এই আসনে যারা সাংসদ ছিলেন, তারা জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার কথা ভুলে গিয়ে দুর্নীতি-লুটপাট, বিরোধীদল দমন পীড়নে ও মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সর্বস্বান্তকরণে ব্যস্ত ছিলেন। জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হতে পারলে অবহেলিত পিরোজপুর -১ আসনের উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়ে আমার পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে চাই।
আল্লাহর দয়ায় আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখিত সব ওয়াদা পূরণে ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হবো ইনশাআল্লাহ। তাই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত বাসযোগ্য এক আধুনিক পিরোজপুর গড়তে আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।’