পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উওর জয়পুর গ্রামে কালিগঙ্গা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদর সংলগ্ন কালিবাড়ী বাজার থেকে ছোট বুইচাকাঠী আবাসন প্রকল্প সড়কের কিছু অংশ ও কেটিবুনিয়া খালের গোড়া পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এলাকাবাসী মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে।
সড়কটি কয়েকটি গ্রামবাসীর উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। সড়কের আশপাশে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি জামে মসজিদ ও ছোট বুইচাকাঠী আবাসন প্রকল্পের ৪৫০টি পরিবারের বসতবাড়ি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম এই সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
নদী ভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে বহু ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। স্থানীয় জামে মসজিদ ও বসতবাড়িগুলো সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে। স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পিরোজপুর অফিসে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
স্হানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান ব্যাপারী বলেন, প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী ছেলে-মেয়েদের যাতায়াতে চরম কষ্ট হচ্ছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় হেঁটে যাওয়া পর্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমরা দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা চাই।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, কালিগঙ্গা নদীর পূর্বপাড়ে কালিবাড়ী বাজার থেকে কেটিবুনিয়া খালের গোড়া পর্যন্ত অন্তত ৫০০ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে নদী রক্ষা বাঁধ বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তা না হলে গ্রাম, স্কুল, মসজিদ ও বাজারসহ শত শত পরিবারের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, ভাঙনরোধে জিও ব্যাগের বরাদ্দ চেয়ে ইতোমধ্যে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে দুই-এক মাসের মধ্যেই কাজটি করে দেবো।