পিরোজপুরের কাউখালীতে বারি-১ জাতের মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে মাল্টা পরিপক্ক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের কাছে পুষ্টিসমৃদ্ধ দেশি মাল্টার চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন বাগান মালিকরা।
এক সময় মাল্টা দুর্লভ হলেও বর্তমানে এ ফল অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ এ ফলে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণাগুণ। সবুজ মাল্টার পাশাপাশি হলুদ মাল্টা এবং বারোমাসি থাই মাল্টার দিকেও ঝুঁকছেন কৃষকরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাসের কাঠি গান্ডতা গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান (মীর জিয়া) জানান, তিনি প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এ বছর প্রায় ৭ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। আরও ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
মীর জিয়া জানান, গত বছর ৯ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। বর্তমানে মালটার দাম বাড়তি থাকায় প্রতিমণ মাল্টা ৪ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মাল্টা চাষি প্রভাষক ইয়াকুব আলী জানান, মাল্টা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লাভ করা যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্রদীপ কুমার হালদার জানান, গত কয়েক বছর ধরে মাল্টা বিক্রি করে উপজেলার চাষিরা লাভবান হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি মাল্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
উপজেলা কৃষি অফিসার সোম রানী দাস জানান, এলাকার মাটির গুণাগুণ ভালো, মাল্টা চাষে উপযোগী। গত বছর কাউখালীতে ২৬৫ মেট্রিক টন মাল্টা উৎপাদন হয়েছে। মাল্টা কৃষকরা প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছে। আশা করি, এ বছর প্রায় ৩ কোটি টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা।