প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি

পাহাড়ে জ্বালানি তেলের সংকট

পাহাড়ে দিনে দিনে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। গত বছর নেওয়া চাঁদা হার থেকে এবার আটগুণ বেশি দাবি করে ব্যবসায়িদের সময় বেঁধে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। হুমকির কারণে তেল সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। এতে করে রাঙামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল থেকে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা সদরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিন আগে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের মার্কেট থেকে ৫০ লাখ টাকা এবং চৌমুহনীর সাতটি তেলের দোকান থেকে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। আগামী ১০ জানুয়ারি সময় বেধে দিয়েছে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাদের কতজন ব্যবসায়ি রয়েছে এবং কোন ব্যবসায়ী কেমন লেনদেন করে সকল তথ্য সন্ত্রাসীদের কাছে রয়েছে।

এবিষয়ে বাঘাইছড়ি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা সাবেক পৌর প্রশাসক নিজাম উদ্দিন বাবু জানান, চারটি সংগঠনকে নিয়মিত হারে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল ব্যবসায়িরা। কিন্তু সম্প্রতি একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অতিমাত্রায় চাঁদা দাবি করা হচ্ছে যার অংক প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

একটি পেট্রল পাম্পের চিত্র। ছবি: খবর সংযোগ

এতো টাকা ব্যবসায়িরা কীভাবে পরিশোধ করবে সেটি বুঝতে পারছি না। ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।

তেলের পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সবুর বলেন, আমাদের সমিতির সাতটি তেলের দোকান থেকে আগে নিতো ৮০ হাজার টাকা, কিন্তু নতুন বছরে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আমরা বৈঠক করে এতো টাকা পরিশোধ করতে পারবো না বলে জানিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমাদের ব্যবসায়িরা কয়েকদিন ধরে তেল সংগ্রহ করছে না। ফলে উপজেলায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। এই ব্যাপারে থানায় কেউই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি, তারপরও বিষয়টির ওপর আমরা নজর রেখে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।

ব্যবসায়িদের অভিযোগের বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।