৭৮ শতাংশ সাক্ষরতার হিসেবেও গদল রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, শিক্ষকদের মানোন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সাক্ষরতার ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়নি। যেটা মূল লক্ষ্য সেটা অর্জিত হয়নি। আমাদের এখনও কাগজপত্রে ৭৮ শতাংশ সাক্ষরে গদল রয়ে গেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ধরনের সম্পদ থাকে কিন্তু আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জনসম্পদ। এই সম্পদকে যদি কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আমাদের কোনো ভবিষৎ নেই।
যারা হাই স্কুলে পিছিয়ে থাকে তারা উচ্চ শিক্ষায় কখনও ভালো করতে পারে না উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রকৃত সাক্ষর ৫০ শতাংশেরও নিচে। নিরক্ষর জাতি দিয়ে আমরা উন্নতি করতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘সবগুলো বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছি। একই সাথে সরকারি বেসরকারি সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমার পাঠ্যপুস্তক দিয়ে থাকি। তবে আমরা শর্ত আরোপ করে দিয়েছে যাদের রেজিস্ট্রেশন থাকবে সে প্রতিষ্ঠান পাঠ্যপুস্তক পাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘ তবে সবার আগে প্রাথমিকের কাজ হলো একটা মানুষকে সাক্ষর করে তোলা। আমাদের কথ্য ভাষা, লেখ্য ভাষা, গাণিতিক ভাষায় সাক্ষর করে তোলা।’
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল হাকিম।