স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন দুই সন্তানের জননী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সাবেক সভাপতি হুমাযুন কবির রাজনের বাড়িতে অবস্থান নেন এই নারী।
জানা যায়, ওই নারী (৩০) ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের বাসিন্দা। ১০ বছর আগে চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ওই নারীর। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাদের।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ২০২৩ সালে তার স্বামীর ফুফাতো বোনের জামাতা শিক্ষক নেতা হুমায়ুন কবির রাজনের সঙ্গে পরিচয় হয় নারীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে একাধিকবার ওই শিক্ষক তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মাঝে মধ্যে কথা হতো রাজনের। তার সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় শেয়ারও করতো রাজন। একটা সময় তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে পরকীয়া প্রেমে জড়ান তারা।
তার ভাষ্যমতে, গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেন রাজন এবং সেখানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাসও দেন। চট্টগ্রামের বাইজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন থাকার পর স্বামী আমানকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দেন রাজন এবং তার পরামর্শে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমানকে তালাক দিই। গত বছরের জুলাই মাসের ৩১ তারিখে ইসলামি শরিযাহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
ওই নারী আরও জানান, সুখেই চলছিল তাদের সংসার জীবন। এরই মধ্যে গর্ভবতী হয় নারী। তাতেও কোনো সমস্যা ছিল না। বিপত্তি বাঁধে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতার রাজন আত্মগোপন চলে যাওয়ার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এবং রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে তার গর্ভের অনাগত সন্তান নষ্টের পরামর্শ দেন এবং তা নষ্ট করান। এরপর পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাজন।
আত্মগোপন থাকা হুমায়ুন কবির রাজন মুঠোফোনে নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে তার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগম বেনুকে দোষী করে বলেন, আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমার স্ত্রী দায়ী তার আত্মীয়তার সূত্র ধরেই এই মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটার চরিত্র ভাল নয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।