জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, নৌ যোগাযোগ বন্ধ 

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হওয়ায় ভারীবর্ষণ, প্রবল জোয়ার ও বাতাসের কারণে হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে । একইসাথে হাতিয়ার সাথে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। হাতিয়ার  চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়া পাঁচ শতাধিক যাত্রী দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন, নলচিরা নৌঘাট এলাকা,তমরোদ্দি লঞ্চঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, চরচেঙ্গা ঘাট এবং হরনী ইউনিয়নের চতলা ঘাটসহ চানন্দী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে। পুকুরের মাছ জোয়ারের সাথে ভেসে গেছে, নদীর তীরে ছোট ছোট চা-দোকানীসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলী বেগম জানান, ভারীবর্ষণ, প্রবল জোয়ার এবং বাতাসের কারণে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এবং নৌঘাট এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। বন্দরটিলা বাজারেরও কাছাকাছি পানি উঠে যায়। এতে মানুষের পুকুরের মাছসব ভেসে যায়, রাস্তা-ঘাট এখনো পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে বলে জানান এ প্যানেল চেয়ারম্যান। তমরোদ্দি ঘাট এলাকাও পানিতে নিমজ্জিত বলে জানান আব্দুল্লা আল মাসুম নামের এক শিক্ষক।

নলচিরা নৌঘাট এবং আফাজিয়া বাজারের পূর্বাংশ জোয়ারে প্লাবিত হওয়াসহ ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মাঝি।   

এদিকে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, গতরাত থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচশ যাত্রী হাতিয়ার উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে এসে আটকা পড়ে। নৌযোগাযোগ বন্ধ থাকায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘসময় ধরে।

নলচিরা নৌ-পুলিশ ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা জানান, আবহাওয়ার কোনো উন্নতি না হওয়ায় সব নৌযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, সাগরে নিম্নচাপজনিত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় হাতিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং চেয়ারম্যান ঘাটে আটকাপড়া যাত্রীদের বিষয়েও খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।