পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি হাতেগোনা কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। এ বছর কুমিল্লার ১৭ টি উপজেলায় ৪০১ টি পশুরহাট বসছে। নিয়ম অনুযায়ী এসব চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ দিন।
স্থানীয় পশু ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এরই মধ্যে হাটগুলোতে পশু আসা শুরু হয়েছে। প্রতিটি বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য রাখা হয়ে নানা সুযোগ সুবিধা। কোন কোন হাটে অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে বিক্রেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটগুলোতে কুমিল্লার ৩৬ হাজার খামারিদের পশু ছাড়াও গেরস্তের গৃহপালিত পশু বিক্রি হবে।
হাটগুলোতে চাঁদাবাজি, হয়রানি যাতে না হয় সেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও হাটগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, জেলায় যাতে কোথাও অবৈধভাবে হাট না বসতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে। এছাড়া কুমিল্লায় মহাসড়ক বা অন্যান্য সড়কের পাশে কোন হাট বসতে দেয়া হবেনা। কুমিল্লার হাটগুলোতে ভারতীয় কোন পশু যাতে না আসতে পারে সীমান্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। কোনভাবেই ভারতীয় পশু কুমিল্লার হাটগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান ও রোগ নির্নয়ে ভেটেনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। জাল টাকা সনাক্তকরণ ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা তাদের পছন্দের পশুটি খোঁজছেন। অনেকে আবার কিনেও ফেলছেন। কনেশতলা বাজার ব্যবস্থাপনায় থাকা মাহবুব মেম্বার জানান, এ বাজারটি এবছর দুদিন বসবে। অনেক ক্রেতা এসেছেন। ঘুরে ঘুরে তারা দেখছেন, কেউ কেউ কিনেও নিচ্ছেন। বাজারে নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার নেয়া উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
হাটে আসা কুমিল্লা সদর উপজেলার শিমড়ান গ্রামের আবদুল কুদ্দুছ জানান, আজকে দেখতে আসছি, পছন্দ হলে কিনে নিব। যেহেতু সামনে আরো কয়েকদিন আছে তাই আরো কয়েকটি বাজারে পশু দেখব।