সরবরাহ বেড়ে চাঁদপুরে কমলো ইলিশের দাম

ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে বাড়ছে ইলিশের সরবরাহ। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠছে চাঁদপুরের ইলিশঘাট। আকারভেদে কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কমেছে দাম। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট গিয়ে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে গড়ে ২০০ থেকে ৪০০ মণ ইলিশ কেনা-বেচা হয়েছে এই ঘাটে। সুস্বাদু ও তাজা ইলিশ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যান খুচরা-পাইকারি ক্রেতারা।

বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। এক কেজির নিচে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা থেকে সাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ জন ইলিশ ঘাটে গিয়ে ৪৩ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছেন। তাজা ও ভালো ইলিশ কিনতেই তারা চাঁদপুরে আসেন। ঘাটে এসে ইলিশ কিনলে কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়।

এছাড়া ৩ কেজি ইলিশ কিনেছেন ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা থেকে আসা ক্রেতা আমিনুল হক।

জানা গেছে, চাঁদপুর থেকে জেলেদের কয়েকটি ট্রলার সাগরে গিয়ে পর্যাপ্ত ইলিশ পেয়েছে। প্রতি ট্রলারে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে সাগর গিয়ে ৬ থেকে ১১ লাখ টাকার ইলিশ পেয়েছেন জেলেরা।

চাঁদপুরের জেলে সংগঠনের নেতা তছলিম হোসেন জানান, রাজরাশ্বর থেকে ২০ জনের একটি দল কয়েকটি ট্রলার নিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে সাগরে যান। প্রত্যাশার চেয়েও এবার তারা বেশি ইলিশ পেয়েছেন। 

এদিকে, মেঘনা নদীতে নাব্যতা সৃষ্টি হওয়ায় সাগর থেকে ইলিশ আসতে ব্যাহত হয়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না ইলিশ। এ তথ্য জানিয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী মানিক জমাদার বলেন, সরবরাহ বাড়লে দাম কম থাকে। এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ নেই।

তিনি আরো বলেন, ঘাটে ইলিশ বেচা-কেনায় সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করছে। জুলাই মাসের প্রথম থেকে শেষের দিকে ইলিশ সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।

জেলা মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের ইলিশ গবেষক আবু কাউছার দিদার বলেন, এবার ৪৪ হাজার জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়েছে। গেল বছর ৪১ হাজার ছিল। এবার ৩ হাজার বেশি জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়েছে। ভরা মৌসুমে ইলিশের প্রাপ্যতা ধীরে ধীরে বাড়বে।