সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ইউপিডিএফ। এর রেশ ৩ পার্বত্য জেলায় পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ ইঙ্গিত করে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সামনে দেশের অনেক বড় কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো বানচালের জন্য ইউপিডিএফ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর গুইমারায় গিয়ে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। এর জন্য দায়ী ইউপিডিএফ।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়িতে বলবৎ আছে ১৪৪ ধারা। শহরে ঢুকতে বা বের হতে মুখোমুখি হতে হচ্ছে তল্লাশির। জুম্ম ছাত্র-জনতার অবরোধ শিথিল থাকলেও চলছে না কোন অভ্যন্তরীন বা দুরপাল্লার গাড়ি।
খাগড়াছড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও রামগড়ে বিজিবির ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। এ কর্মসূচি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় সহিংসতা ঘটে, যাতে ৩ জন পাহাড়ি নিহত হন। আহত হন সেনা কর্মকর্তাসহ বহু পাহাড়ি ও বাঙালি। রামসু বাজারসহ বহু ঘরবাড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।