ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাল্যবন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন খাইরুল আমিন নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক আজ সকালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
নিহত উমর হাসান (২৩) মহেশপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে। ঘাতক খাইরুল আমিন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা চান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উমর ও খাইরুল শৈশব থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সম্প্রতি ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাত আনুমানিক ২টার দিকে খাইরুল ঘরের সিঁধ কেটে উমরের ঘরে প্রবেশ করেন। প্রথমে ধারালো দা দিয়ে উমরের ঘাড়ে ও হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। এরপর তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় নিহতের মা রাহেলা বেগম শব্দ শুনে ছেলের ঘরে প্রবেশ করলে খাইরুল তাকেও কোপ দিয়ে আহত করে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন।
ওসি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাইরুল প্রথমে উমরকে কুপিয়ে ও পরে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।