আশুগঞ্জ সার কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও গেইট মিটিং

এক কর্পোরেশন, এক পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরাদের গেইট মিটিং ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গেইট মিটিংয়ে কারখানায় কর্মরত শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত ১ মার্চ থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১১০০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ কারখানাটি দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে আছে।

আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য নেতারা।

বক্তারা বলেন, একই কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য দুটি ভিন্ন বেতন কাঠামো অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক। শুধু টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের জন্য আলাদা মজুরি স্কেল রাখা হয়েছে, অন্যরা জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাই মজুরি স্কেল বাতিল করে সব টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের জাতীয় পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।

তারা আরও জানায়, যদি তাদের দাবি মানা না হয়, পরবর্তীতে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা করবেন।

এছাড়া বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে সার আমদানি বন্ধ করে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে ইউরিয়া উৎপাদন পুনরায় চালুর দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। সমাবেশ শেষে শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানার ভেতরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক কার্যালয়ে সামনে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করেন।