টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কচুরিপানার চাপে বিকট শব্দে দু’টি পিলারসহ সেতুর দক্ষিণ অংশ মুখ থুবড়ে নদীর বুকে ধসে পড়ে। বুধবার (৫ জুন) বিকেলে ঝিনাই নদীর উপর জামতৈল-বনমালী সেতু পিলারসহ ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায়। ভেঙ্গে পড়ায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, গোপালপুর এলজিইডি বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯৬ সালে নগদাশিমলা ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর জামতৈল-বনমালী অংশে এ সেতুটি নির্মাণ করেন। সেতুর বনমালী অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলেও গ্রামীণ দলাদলির জন্য জামতৈল অংশে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। ফলে যানবাহন পারাপারে সমস্যা হতো। বেশ কিছুদিন ধরে মাদকসেবীরা ব্রিজের উইংয়ের লোহা খুলে নিয়ে যায়। ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
বনমালী গ্রামের দোকানদার হালিম মিয়া জানান, কিছুদিন আগে যমুনার এ শাখা নদীতে ঢলের পানি পড়লে উজান থেকে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা সেতুর সাথে আটকে যায়। কয়েকদিন আগের ভারী বর্ষণে নদীর স্রোতের ধাক্কায় সেতুর একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ে। সামনে বর্ষাকাল। সেতুর অভাবে নদী পারাপারে সমস্যা হবে।
গোপালপুর এলজিডির সাবেক সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছিল। উচ্চতা কম থাকায় ভরা বর্ষায় সেতুর নীচ দিয়ে বড় নৌকা পারাপার করা যেতো না। প্রায়ই নৌকার সাথে ব্রিজের ধাক্কা লাগতো। বছর তিনেক আগে সেতুর মাঝখানে ফাটল দেখা দেয়। বরাদ্দের অভাবে এটি মেরামত করা যায়নি।
উপজেলা স্থানীয় সরকারের (এলজিইডি) প্রকৌশলী ফাত্তাউর রহমান জানান, সেতু ধসে পড়ার খবর মৌখিকভাবে শুনেছেন। লোক পাঠিয়ে বিষয়টি জেনে নেয়ার পর বক্তব্য দেয়া যাবে।