শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষিকার ছুরিকাঘাতে নারী নিহত

শরীয়তপুরে লুৎফা বেগম নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বালাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফা বেগম ভেদরগঞ্জের চরসেনসাস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালার স্ত্রী।

জানা গেছে, পান্না বেগম নামে এক স্কুল শিক্ষিকা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লুৎফা বেগমকে হত্যার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার জন্য নিজের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে চেয়ারে বসে মাগরিবের নামাজ আদায় করছিলেন নিহত লুৎফা বেগম। এসময় পেছন থেকে এসে প্রতিবেশী স্থানীয় তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা পান্না বেগম (৩২) তার গলায় ছুরিকাঘাত করেন। বিষয়টি দেখে লুৎফা বেগমের পুত্রবধূ আফরোজা বেগম শিক্ষিকাকে ধরে ফেলেন। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পান্না বেগম নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে কেন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

বালাকান্দি এলাকার মাহাবুব বালা বলেন, ‘ঘরে ঢুকে দেখি আমার চাচি লুৎফা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর পান্না বেগম পাশে খাটের ওপর শুয়ে আছেন। পরে জানতে পারি পান্না বেগম এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তদন্তপূর্বক আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন এক শিক্ষিকা। তিনিও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’