রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশচন্দ্র রায় এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মোরসালিন নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার খিয়ার জুম্মা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে মোরসালিনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার ওই কিশোর পেশায় একজন রাজমিস্ত্রির সহযোগী।
রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফ হোসাইন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোরসালিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়ালটির বিষয়েও পুলিশকে জানিয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যার মূল কারণ ও বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গত রোববার তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের পূর্ব রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশচন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির ডাইনিং রুমে যোগেশচন্দ্র এবং রান্নাঘরে তার স্ত্রীর মরদেহ পড়ে ছিল।
নিহত যোগেশচন্দ্র রায় কুরশা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদালয় তাদের সৎকার সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শোভন চন্দ রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রংপুরে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার