কিশোরগঞ্জের স্থানীয় ভাষা সৈনিক জহিরুল হককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন ভৈরব প্রেসক্লাব। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাহসী ও প্রবীণ ভাষা সৈনিকের ভৈরবপুর (দক্ষিণপাড়া) বাসভবনে সম্মাননা স্মারক তুলেন ভৈরবের সাংবাদিক সমাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-টিভি জানার্লিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা, ভৈরব প্রেসক্লাব সদস্য সচিব সোহেলুর রহমান, সাংবাদিক সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, তুহিন মোল্লাসহ প্রমুখ।
২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভৈরব প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানসহ জহিরুল হক ও আবদুল মতিন স্থানীয় দুই ভাষা সৈনিকদের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্থানীয় ভাষা সৈনিক জহিরুল হক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ও ক্রীড়ার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। তিনি যখন ভৈরব কেবি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মওলানা ভাসানীর ভক্ত ছিলেন ও তার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। সিলেট পাকিস্তান না ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে ১৯৪৮ সালের ওই গণভোটের আন্দোলনে তিনি কাজ করেছেন।
১৯৭১ সালে বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে গণমুক্তি ফৌজ গঠিত হলে তিনি উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শিবপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ ও পরবর্তীতে বিএনপির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
ভৈরব পৌরসভায় দুইবার তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলর ছাড়াও বহু সামাজিক আন্দোলন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অগ্রণী দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৮ সাল থেকেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরপর জিন্নাহ সাহেব যখন ঢাকার সভায় ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তখন ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের ঢেউ ভৈরবেও এসে লাগে। এখানকার ছাত্ররাও তখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
৫২ সালে তিনি তখন ভৈরব কেবি হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। তখনই তিনি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। ঢাকার প্রতিটি কর্মসূচি ভৈরবে তারা পালন করেছেন।