সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে কোরবানির পশুর চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা থেকে যাচ্ছে এসব চামড়া।
শনিবার (৭ জুন) দুপুর ২টার পরই ট্যানারিগুলোতে চামড়া যেতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ট্যানারিগুলোতে কর্মব্যস্ততা। কাঁচা চামড়াগুলোতে প্রাথমিক কাটিং-সাটিংয়ের পর লবণ মাখিয়ে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। লবণযুক্ত চামড়াগুলোকে সংরক্ষণ করে পরবর্তী ধাপে নেয়া হবে বলে জানান ট্যানারি মালিকরা।
এদিকে চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবারও উপেক্ষিত হয়েছে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম। পাইকার আর অধিকাংশ ট্যানারির মালিক বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া নেননি। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
মিরপুর থেকে চামড়া নিয়ে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, দাম ঘোষণা হয় ঠিকই তা বাস্তবায়ন হয় না। চামড়া নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়। এতিম ও গরিবের হক তাই কেউ কঠোর হন না।
সাভার চামড়া শিল্পনগরীর লেদার ব্যবসায়ী বলেন, এখানে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া ঢুকছে। এগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে অন্তত দুই আড়াই মাস রাখা যাবে। আমরা সরাসরি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনছি। আগেই কথা বলা ছিল। সেগুলোই নিচ্ছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে দামেই নিয়েছি।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুপুরের দিক থেকেই চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।