ভেঙে ফেলা হচ্ছে যমুনা সেতুর রেললাইন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ১৮ মার্চ যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে সড়ক সেতুর রেলপথ দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না। সে কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা রেললাইনটি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর প্রান্ত থেকে সেতুর রেললাইনের নাট-বল্টু খোলার কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে সড়ক সেতুকে প্রশস্ত করার। 

তিনি আরও বলেন, রেললাইন অপসারণ হলে সড়ক সেতুতে আরও সাড়ে ৩ মিটার জায়গা বাড়বে। আমরা সাড়ে তিন মিটার মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করবো। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে।

বর্তমানে সেতুর প্রতি লেনের প্রশস্ততা রয়েছে ৬ দশমিক ৩ মিটার জানিয়ে আহসানুল কবির পাভেল বলেন, অথচ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হলো ৭ দশমিক ৩ মিটার। এ কারণেই যানজট আর দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন ৮ মিটার প্রশস্ত হবে।

তিনি বলেন, তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর সড়ক সেতুর পাশের রেলসেতুটিতে দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না। ফলে ওই রেললাইনের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। এ কারণে সেতুর রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।