পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গোলবুনিয়া ও জানখালী গ্রামের সীমান্তবর্তী সাংরাইল খালের ওপর নির্মিত সংযোগ সেতুটির বেহাল দশার কারণে যুবদল নেতা এআর মামুন খানের নিজ অর্থায়নে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে ১১৪ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। এতে ৬ গ্রামের অন্তত ৮-১০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

সাঁকোটি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক এআর মামুন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের যুবদল নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেতুটির পাটাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিডরের পরে ১৮ বছর হয়ে গেলেও কোনো জনপ্রতিনিধি সেতুটির উন্নয়নে কাজ করেনি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে পাটাতনের রড ও সিমেন্টের তৈরি স্ল্যাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। ১৪ বছর আগে সেতুটির সবগুলো স্ল্যাব ভেঙে যাওয়ায় সুপারি গাছ বিমের ওপর দেওয়া হয়। মেরামত না হওয়ায় এভাবেই লোকজন চলাচল করে আসছিল। বিষয়টি নজরে আসলে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের যুবদল কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন এআর মামুন খান।

এদিকে সেতু নির্মাণে স্বস্তি প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, সেতু না থাকায় আমাদের চরম কষ্ট পোহাতে হতো। আগে গ্রামের মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো বানাতো। এবার যুবদলের নেতারা নিজেদের টাকায় মজবুত করে সেতু তৈরি করে দিয়েছেন। চলার পথ হওয়ায় গ্রামবাসীর অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন রিকশা-সাইকেলও চলাচল করতে পারবে। যুবদল নেতাকর্মীরা নিজেরাই এ কাজটা করেছেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মী হিসেবে এমন কল্যাণমূলক কাজ করা সত্যিই প্রশংসনীয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেল জানান, নিজ এলাকার মানুষের কষ্টের কথা জেনে আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছি কাঠের তক্তা দিয়ে মানুষকে পারাপারের সুযোগ করে দেওয়ার। আমাদের নেতাকর্মীরা ৪-৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। মিস্ত্রির সাথে অনেক নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে কাজ করেছে। আমরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক এআর মামুন খান বলেন, যুবদল সবসময় জনগণের পাশে থাকে। উন্নয়ন মানে শুধু সরকারের কাজ নয়, মানুষের সেবায় এগিয়ে আসাও দেশপ্রেমের অংশ।
দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। যুবদলের উদ্যোগে সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় এখন মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে- এমনটাই বলছে এলাকাবাসী।
