ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘোড়াটি যাকে পাচ্ছে, তেড়ে গিয়ে তাকেই কামড়াচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়াও গত ২ দিনে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ঘোড়াটির কামড়ে ও লাথিতে অন্তত ২০ জনের মতো আহত হন। আহত অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলার পৌর সদরের বাসিন্দা কাজী হাসান ফিরোজ (৬০), আতাউর রহমান (৫৫), মো. সিদ্দিক (৪৫), শহিদুল (২৫), মনিরা বেগম (৩৬), আলেয়া বেগম (৩৪)। বাকিদের প্রাথমিকভাবে নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও অনেকেই বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পৌর সদরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস বাকের বলেন, গত ২ দিনে হঠাৎ করে মহিলা-পুরুষসহ বেশ কয়েকজন ঘোড়ার কামড়ে আহত হন। আজ সকালে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত বেশ কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌরসভার আঁধারকোঠা মহল্লার বাসিন্দা মো. নিজাম উদ্দিন খান বলেন, পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে গত ২ দিনে মহিলাসহ কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হন। পাগলা ঘোড়াটি সামনে যাকে পাচ্ছে, তাকেই কামড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুর কামড়ানোর পর ঘোড়াটিও পাগলের মতো আচরণ করছে, সামনে কাউকে পেলেই কামড়াচ্ছে, আর লাথি মারছে।
ঘোড়ার কামড়ে মারাত্মক আহত কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, সকালে হাঁটার জন্য রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে চৌরাস্তায় পৌঁছালে একটি পাগলা ঘোড়া দৌঁড়ে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছনের কোমড়ে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক লোকজন এসে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে এখন বাড়িতে আছি। তবে আক্রান্ত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে। আমার জানা মতে, আজ সকালেই কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, সকালে ঘোড়ার কামড়ে আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। আহতদের ব্যাথানাশক ওষুধ ও টিটিনাস ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। আহতদের ভাষ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুড় কামড়েছে। তাই ঘোড়াটি এমন আচরণ করছে।