ভাঙ্গায় আজও অবরোধ কর্মসূচি, পরিস্থিতি থমথমে

ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি উত্তাল হয়ে উঠেছে ভাঙ্গা উপজেলা। সোমবারের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) টানা অব্যাহত রয়েছে অবরোধ কর্মসূচি।

তবে সোমবার অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিন সকাল ৬টা থেকে ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি থাকলেও এখন পর্যন্ত যানচলাচল স্বাভাবিক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে মাঠে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে রাস্তায় কোনো অবরোধ না থাকলেও যান চলাচল ও লোকসমাগম স্বাভাবিকের তুলনায় কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সংঘর্ষের পর অনেকটাই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। লোকজনের আনাগোনা একেবারেই কম। প্রধান সড়কে হাতগোনা গাড়ি চলছে।

এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামেরদী ইউনিয়ন কর্তনের প্রতিবাদে সোমবার তৃতীয় দফার লাগাতার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙ্গা পৌরসভা ও আশপাশের এলাকা। দিনভর বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে উত্তাল ছিল পুরো এলাকা।

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানা ইএনও অফিস, নির্বাচন অফিস ও ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় ব্যাপক ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম ভাঙ্গা থানা পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ভাঙ্গায় তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই ভাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।