ফতুল্লার পৃথক স্থানে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নারী ও শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক ৩টি ঘটনায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। 
 
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় অটোরিকশার ধাক্কায় মো. আব্দুল্লাহ নামের (৪) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ ধর্মগঞ্জ ঢালিপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। 
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধর্মগঞ্জ এলাকার চালক মো. সাগর (৩০) বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশাটি চালিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুকে ধাক্কা দেয়। তাকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা থানার এসআই মো. ইয়াসিন আরাফাত জানান, নিহত শিশু আব্দুল্লার পরিবার এ ঘটনায় মামলা করতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
 
একই দিন দুপুর ১২টায় ফতুল্লার সরকারী তেল ডিপো যমুনা ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ইদ্রিস আলী ব্যাপারীর (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পাগলা নৌ পুলিশ। তিনি ঢাকার শ্যামপুর তেলঘাট এলাকার বাসিন্দা। 
 
পাগলা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি নৌকার মাঝি ছিলেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর নৌকা চালানোর সময় অসাবধানতাবশত নৌকা থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। সেদিন থেকে নিখোঁজের পর আজ তার মরদেহ পাওয়া যায়।
 
একই সময় ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে ঋতু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বেলা ১২টার দিকে এলাকার ইমাম উদ্দিনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াবাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের স্বামী মাসুম মিয়া শ্বশুরকে ফোন দিয়ে জানায় ঋতু আত্মহত্যা করেছেন। পরে খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
 
২ মাস আগে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন দম্পতি। ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়। তবে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
 
নিহতের বাবা মো. কাশেম মিয়া অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। 
 
ফতুল্লা থানার এসআই সঞ্জীব জোয়াদ্দার বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। পালাতক মাসুমকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।