গাজীপুরের শ্রীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে অপর ট্রেনের নিচে পড়ে সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন (৪৫) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জালাল উদ্দীন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে পড়ে জালাল উদ্দীন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। জালাল উদ্দিন গফরগাঁও থেকে সবজি এনে শ্রীপুর বাজারে বিক্রি করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুর্ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর স্টেশনের ২নং লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ওই ট্রেনে উঠার জন্য দৌঁড়ে যাচ্ছে। এ সময় ১নং লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দিলে জালাল উদ্দীন পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান।
রেল লাইনের পাশের হোটেল ব্যবসায়ী রাসেল জানান, সবজি বিক্রেতা জালাল উদ্দীন ট্রেনের নিচে পড়ে গেলে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় তিনি প্রায় ২০০ হাত পর্যন্ত গড়িয়ে যান। পুরো ট্রেন ওপর দিয়ে চলে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সামান্য জখম হয়।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গেলেও আমিসহ অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যািই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো পরামর্শ দেন। খবর পেয়ে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বাজারে তার শ্বশুরবাড়ীর স্বজনেরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা (আরএমও) বিজন মালাকার বলেন, ট্রেনের নিচে পড়ে আহত জালাল উদ্দিনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ট্রেনের নিচে পড়া ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।