থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় রোববার হামলা করে গ্রেপ্তারকৃত এজাহারভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েক জন আহত হন। থানায় হামলার ঘটনায় রোববার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ১১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫’শ জনকে আসামি মামলা করে।

মামলা পর রাতেই পুলিশ শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, শৈলকুপার ধাওড়া গ্রামে একটি মারামারি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে রোববার (৯ জুন) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ধাওড়া ও আশপাশের গ্রামের শত শত লোকজন ঢাল, ভেলা, লাঠি, সোঁটা, রাম দা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলা করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পুরো থানা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, থানায় হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান আছে।