নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের বাসিন্দারা ময়লার দুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে দিনযাপন করছেন। লোহাগড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ময়লা আবর্জনার কোন নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা করেনি। এ কারণে সারা শহরের যত্রতত্র ময়লার স্তুপ। পচা দুর্গন্ধে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন এখনকার মানুষেরা।
লোহাগড়া বাজারের যেখানে সেখানে যত্রতত্র ময়লা ফেলে হচ্ছে। এ কারণে বাজারের ব্যবসায়ী,পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন । পৌরবাসী এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের কেন্দ্রস্থল লোহাগড়া প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর, মুরগী ও মাংস পট্টি, লক্ষ্মীপাশা খাদ্য গুদামের সামনে প্রতিদিন জমছে ময়লার স্তূপ। এসব স্থানের কয়েক গজ দুরে রয়েছে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ওই এলাকায়ও দুর্গন্ধে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। রোগী ও স্বজনরা আছেন মহাবিপদে।
রোববার (২৯ জুন) পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একই চিত্র দেখা গেছে। এদিকে কারোর কোনো খেয়াল নেই। দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষের দিনদিন ওই সমস্ত এলাকায় চলাচল কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়া মশা-মাছির উপদ্রবও বেড়েছে।
নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মোল্যা বলেন, এতো খারাপ অবস্থায় বাংলাদেশের কোনো শহরের মানুষ নেই। চরম যন্ত্রনায় আছেন এ শহরের মানুষেরা। ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে হেটে গেলে বমি আসে। তারপরও জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। এ অবস্থা চলমান থাকলে মনে হয় এলাকা থেকে পালাতে হবে।
লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুজ্জামান হায়াত বলেন, সারা লোহাগড়া উপজেলা শহরের অবস্থাই খারাপ। যত্রতত্র যেভাবে ময়লা-আবজনা জমছে, এতে শহরের চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসতে পারছেন না দুর্গন্ধে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন করে এর থেকে পরিত্রাণ দেবেন এমনটা প্রত্যশা করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে এসব দুর্দশা লাঘবে অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাস্তবে কেউ এ সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসেননি। সবাই নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন। জনস্বার্থে তাদের তেমন কোন ভূমিকা নেই।
এ বিষয় লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ বলেন, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় এখনও কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভা জমি খুঁজছে, জমি পেলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।