ঝিনাইদহে মাত্র ২০ টাকা ধার পরিশোধ নিয়ে ঝগড়ার জেরে ছুরিকাহত মঞ্জুর বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মঞ্জুর বিশ্বাস ঝিনাইদহ পৌর এলাকার লক্ষ্মীকোল গ্রামের মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মঞ্জুরের স্বজনেরা অভিযুক্ত শাহ আলমের বাড়িতে হামলা করে। এসময় ভাঙচুর, লুটপাট ও বিচালীর(খড়) গাদায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শাহ আলম ঝিনাইদহ আদালত পাড়ার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলমের ছোট ভাই আবিরের কাছ থেকে ২০ টাকা ধার নেয় মঞ্জুরের ছেলে রিফাত। সেই টাকা পরিশোধ না করায় গত ১১ আগস্ট রিফাতের বাইসাইকেল কেড়ে নেয় আবির। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য গত ১৩ আগস্ট আদালত চত্বরে একটি চায়ের দোকানের সামনে শাহ আলমকে ডেকে নেন মঞ্জুর ও তার স্বজনরা। সেখানে শাহ আলমকে মারধর শুরু করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে একটি ছোরা এনে মঞ্জুরকে আঘাত করেন। আহত মঞ্জুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯দিন পর তিনি মারা যান।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুরের মত্যু হয়েছে। মামলার আসামি শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছে। মঞ্জুরের মৃত্যুর খবরে স্বতার জনেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।