নড়াইলে হত্যা মামলায় দেবর-ভাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরেক ব্যক্তিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে নড়াইলের সিনিয়ির জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ দণ্ডাদেশ দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ভাবি আশা বেগম ও দেবর আরাফাত শেখ পলাতক রয়েছে। তবে আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত রোমান ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়া প্রেমিক যুগল আশা বেগম ও আরাফাত বিগত ২০১৬ সালে ৮ ডিসেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার নাকসী গ্রামের মৃত তোকাম ফকিরের ছেলে মাসুম ফকিরকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করতে নদীতে ফেলে দেন। মাসুমের অপরাধ ছিল তিনি আশাকে বিভিন্ন সময় সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরকীয়া প্রেমিক যুগল আশা ও আরাফাত ট্রাক চালক মাসুমকে রাতে কৌশলে নির্জনস্থানে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মাসুমের ভাইয়ের করা হত্যা মামলায় আশা ও অরাফাত সিআইডির হাতে ধরা পড়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি সদর উপজেলার নাকসী খলিশাখালী গ্রামের তৌহিদ শেখের স্ত্রী আশা বেগম, দেবর ওসমান শেখের ছেলে আরাফাত শেখ এবং বুড়িখালী গ্রামের এনায়েত ভুঁইয়ার ছেলে রোমান ভুঁইয়াও আশার আত্মীয় বিলডুমরতলা গ্রামের ইজমুল মোল্যার স্ত্রী শাবানা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়।
মামলা চলাকালীন সময়ে একপর্যায়ে আশা ও আরাফাত আদালত থেকে জামিন লাভ করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২২ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায়ের ধার্য দিনে ভাবি আশা, দেবর আরাফাত ও রোমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আসামিদের সাজার আদেশ দেন আদালত।