নকলায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন 

শেরপুরের নকলায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

স্বাস্থ্য সহকারী জাহিদা আক্তার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোশফিরাত তাসনিম নুঝাতকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেন।

এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক উমর ফারুক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রবাল সরকার পার্থ, মেডিক্যাল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. মালিহা নুঝাত, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ইপিআই (এমটিইপিআই) মো. আব্দুর রহিম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন, সেনেটারি ইন্সপেক্টর হাসান ফেরদৌস আলম, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউছার বিদ্যুৎসহ স্বাস্থ্য সহকারীগণ ও ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন চলবে। প্রথম ১০ দিন ২৭০টি কেন্দ্রে ২৯৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু কিশোরদের এবং পরবর্তী ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে ২১৬টি ইপিআই সেন্টারে টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে।

উপজেলায় ৯ মাস বয়সী শিশু থেকে ১৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী মোট ৬১ হাজার ৫৮৫ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেডিক্যাল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. মালিহা নুঝাত জানান, উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু কিশোরদের পূর্বনির্ধারিত সুবিধাজনক কেন্দ্রে প্রথম ১০ দিনব্যাপী এই টিকা প্রদান করা হবে। পরে কমিউনিটি পর্যায়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের পুরাতন ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতি ওয়ার্ডে ৮টি করে টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা প্রদান করা হবে। এতে প্রতি ইউনিয়নে ২৪টি করে মোট ২১৬টি অস্থায়ী কেন্দ্র ও একটি স্থায়ী কেন্দ্র (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স)-এ বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই (এমটিইপিআই) মো. আব্দুর রহিম জানান, এই টিকা গ্রহণের জন্য ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করা হতে হবে। তবে যে বা যারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে পারেনি, তারা নিকটস্থ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড প্রদর্শন করেও টিকা গ্রহণ করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

এদিন শিশুদের টিকা দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে একদল শিল্পী বাদ্যযন্ত্র সহকারে জনসচেতনতামূলক গানও পরিবেশন করেন।

ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রথম সারির ও দ্বিতীয় সারির দুই স্তরের তদারককারী কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া কাজের শৃঙ্খলা বজায়সহ সার্বিক সহযোগিতায় বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।