সুদানে শহীদ সেনা সদস্য মাসুদ রানার মরদেহ লালপুরে পৌঁছেছে

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হওয়া লালপুরের সন্তান কর্পোরাল মাসুদ রানার (৩০) মরদেহ নিজ এলাকায় পৌঁছেছে। 

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ নাটোরের লালপুর উপজেলার করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়।

শহীদ মাসুদ রানা লালপুর উপজেলার আরবাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের সন্তান। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সুদানের আবেই এলাকায় একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যে ৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারান, মাসুদ রানা ছিলেন তাদেরই একজন।

আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ এই সেনাসদস্যের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে মাসুদের পরিবারের দুই সদস্যসহ হেলিকপ্টারে করে তার কফিন লালপুরে নিয়ে আসা হয়। করিমপুর মাঠ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ তার নিজ গ্রাম বোয়ালিয়াপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রিয় সন্তানকে শেষবারের মতো দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করেন।

শহীদ মাসুদ রানার চাচা ছাবেদ আলী বলেন, ‘আমার ভাতিজা দেশের জন্য এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রাণ দিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে তাকে শহীদি মর্যাদায় আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’

নিহতের ছোট ভাই রনি বলেন, ‘আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, এজন্য আমরা গর্বিত। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার বাবার কবরের পাশেই ভাইকে দাফন করা হবে।’

বিকেলে বোয়ালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।