ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও মহাসড়ক আইন বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বগুড়ার শেরপুর বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেরপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির সঞ্চালনায় ও সভাপতি আরিফুল রহমান মিলনের সভাপতিত্বে পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প, বগুড়ার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আজিজুল ইসলাম সকলের বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনেন।
সভায় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুল রহমান মিলন বলেন, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ গঠিত হওয়ার পর এই অঞ্চলের মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি কমেছে। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তারপরও আমাদের মধ্যে কোনো কোনো ড্রাইভার আইন অমান্য করে সড়কে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করে। হাইওয়ে পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা আশা করছি, ড্রাইভাররা যথাযথ আইন মান্য করে মহাসড়ক ব্যবহার করবে। অন্যথায় আমরা শ্রমিক নেতারাও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
মতবিনিময় সভায় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা ধারাবাহিকভাবে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছি। আমরা পুলিশ সদস্যরা যতই মামলা দেই না কেন, আপনারা সচেতন না হলে মহাসড়কে শৃঙ্খলা আসবে না। আমরা দীর্ঘদিন থেকে থ্রি হুইলার চালকদের সার্ভিস লেন ব্যবহার করা জন্য প্রচার প্রচারণা চালালেও কোনো কোনো চালক তা মানছেন না। ফলে আমরা মামলা দিতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা আশা করবো, সকল প্রকার থ্রি হুইলার চালক যথাযথভাবে সার্ভিস লেন ব্যবহার করবে।
এ সময় উপস্থিত অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মী ও পরিবহন চালকরা শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আইন মেনে মহাসড়ক ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেন।