নাটোরের সিংড়ায় একটি খামারে হামলা চালিয়ে খোলাবাড়িয়া গ্রামের শায়বারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ৮০০টি হাঁস লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে আজমল হকের হাঁসের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঘটনার সময় খামার মালিক আজমল হকসহ গ্রামবাসী স্থানীয় এলাহী বক্সের জানাজায় অংশগ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে শায়বারের নেতৃত্বে ৭/৮ জন ব্যক্তি খামারে প্রবেশ করে ২ জন কৃষাণকে মারধর করে আটকে রাখে এবং খামারের প্রায় ৮০০টি হাঁস লুট করে।
খামারের কৃষাণ বাবু বলেন, আমি খামারেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি, কয়েকজন লোক গেট দিয়ে হাঁস বের করছে। আমি বাঁধা দেওয়া পানির ভেতরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডুবিয়ে রাখে।
আরেক কৃষাণ শফি বলেন, খামারের ভেতরে গিয়ে দেখি মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। আমি নিজের চোখে শায়বারকে হাঁস তাড়াতে দেখেছি।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শায়বার পুলিশের সামনেই হাঁস নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে তিনি জানান, হাঁস ফেরত দেবেন না। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এবং ভুক্তভোগী স্থান ত্যাগ করে। পরে খামারের মালিক আজমল হক আইনের আশ্রয় নেন।
তবে অভিযুক্তদের প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লুট হওয়া হাঁসগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আজমল হক জানান, প্রতিদিন এই ৮০০ হাঁস প্রায় ৫০০ ডিম দেয়। হাঁসগুলো উদ্ধার না হওয়ায় তিনি চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগটি অস্বীকার করে অভিযুক্ত শায়বার বলেন, আমি কারো হাঁস নিয়ে আসিনি। ওই ফার্মে আমার ছেলেরা গিয়েছিল শুধু।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী খামারি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ মামলা নেওয়া হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তীতে মামলা রুজু করা হবে।