নাটোর প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের হাজরা নাটোর এলাকায় কালেক্টর পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন ও নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা ইপিআই টিকাদান কার্যক্রমের মত টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করতে চাই। প্রায় ৩ হাজার টাকা মূল্যমানের এক একটি টিকা পরীক্ষিত ও নিরাপদ। নির্ধারিত বয়সী শিশুদের টিকাদানের আওতায় নিয়ে এসে টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাই।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা গ্রহণ কার্যক্রম চালু আছে। ইতোমধ্যে সার্কভুক্ত পাকিস্তান ও নেপালে সরকারি পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এই টিকা পরীক্ষিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ।
নাটোর জেলায় নির্ধারিত বয়সী শিশুদের মধ্যে ১ হাজার ৫৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ ৯৯ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থীকে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এবং কমিউনিটিতে জেলার এক হাজার ৭৫২টি টিকাদান কেন্দ্রে আরো এক লাখ ৩০ হাজার ৫৪১ জন শিশুকে ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে। জেলার মোট ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৮২ জনের মধ্যে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ জন শিশুর নিবন্ধন হয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ করতে পারলে স্বাস্থ্যের ওপর চাপ কমানো যায় বলে মন্তব্য করে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্রছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য রোগ প্রতিরোধ। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব মোহাম্মদ আবুল হায়াত, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নাটোর জেলা পুলিশ ও নাটোর জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।