বগুড়ার গাবতলীর নশিপুরে দুদিনের ব্যবধানে একই বাড়ি থেকে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণের মাধ্যমে সবগুলো ককটেল নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পুনরায় অভিযান চালিয়ে নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী গ্রামের মুক্তার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রোববার দুপুরে উপজেলার ছোট ইটালী গ্রামের ওই বাড়িতে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন কুমিল্লা জেলার আতাউর রহমান সেলিম নামে এক ব্যক্তি। বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫টি ককটেল উদ্ধার করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
আহত সেলিম বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় বাদশার নেতৃত্বে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্যরা ওই বাড়িতে ককটেল তৈরি করছিল। প্রথম দিনের অভিযানে আলো স্বল্পতার কারণে সব ককটেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দুই দিন পর আরেকটি অভিযান সেখানে পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধারের পরপর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় রোববার রাতেই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৮ জনকে।