তীব্র শীতের দাপটে কাঁপছে পঞ্চগড়

হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমালয়ের একেবারে নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগেই এ জেলায় শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করে। তবে এবার বর্ষা কাটার আগেই শীতের আগমন ঘটেছে এবং প্রতিবছরের চেয়ে দ্রুতই তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে । গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।

শুক্রবার ( ৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা নির্ণয় করা হয় ১০০ শতাংশ।

স্থানীয়রা বলছেন,তাপমাত্রার এই তারতম্যের কারণে জেলায় দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। দিনের পর দিন মাঠে কাজ করতে হওয়ায় ঠান্ডা তাদের জীবনে বাড়তি দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত বাড়লেও এখনো তেমনভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। যদিও কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্প পরিসরে শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। শীতার্তদের দাবি,যেহেতু শীতের প্রকোপ বাড়ছে,তাই এখন থেকেই যদি সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়, তবে তা অনেক মানুষের উপকারে আসবে।

এদিক একই কথা বলেন, সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার বাসিন্দা বশিরুল আলম বলেন, শীত এখনই পড়তে শুরু করেছে। তাই এ সময় শীতবস্ত্র পেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। শীতের শেষে বিতরণ করলে অনেকেই তা পায় না, আর কাজে তেমন লাগে না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, 'আজ সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের হিম বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় এ অঞ্চলে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আগামী সপ্তাহে আরও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'