পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল-আমিনের মরদেহ তিনদিন পর ফেরত দিল বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই মালেক নিহত আল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় নিহত আল আমিনের বড় ভাই মোস্তফা কামাল, ছোট ভাই মনসুর আলী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে মরদেহ বুঝে নেন।
শনিবার (৮ মার্চ) জেলার সদর উপজেলার ভোর রাতে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি)'র ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস হতে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়া নামক স্হানে ভারতের ৪৬ ব্যাটালিয়ান ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল কর্তৃক চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে ফায়ার করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পরে মরদেহ বিএসএফ টহল দল উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্ত শেষে রাজগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি জানার পর সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭-এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান।