ঠাকুরগাঁওয়ে লাম্পি স্কিন রোগে ৭২ গরুর মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। জেলার ৫টি উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গবাদিপশু ।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, আক্রান্ত গরুর সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে। এ রোগের কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ কৃষক ও খামারিদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত গরুগুলোর মধ্যে ১৪২৮টি গরু বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাস্তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।

সদর উপজেলার ছোট খোঁচাবাড়ি এলাকার কৃষক আবদুল জলিল বলেন, আমার দুটি গরু ছিল। হঠাৎ দেখি শরীরে দানা দানা ফোসকা উঠছে, জ্বরও আসে। খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাইনি, ৫ দিনের মধ্যে একটা মারা গেল। আরেকটাও খুবই দুর্বল।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার খামারি মাসুদ রানা বলেন, দশটি গরু নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত। একটা মারা গেছে। বাকি দুটোও ভালো না। ডাক্তার এসে শুধু বলছে আলাদা করে রাখতে, নাপা খাওয়াতে। এতো বড় গরুকে নাপা দিলে কি হবে?

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজাহার আহমেদ খান বলেন, লাম্পি ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত পশুর কাছ থেকে অন্য পশুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এ রোগের প্রতিষেধক নেই। তবে আমরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছি।