সোনাহাটে সেতুর কাজ ৭ বছরে ৫০ শতাংশ

কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর ওপর অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো বেইলি সেতুর বিকল্প হিসেবে ২০১৮ সালে শুরু হয় সোনাহাট নতুন সেতু নির্মাণের কাজ। সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর সোনাহাট স্থলবন্দর সংলগ্ন এই সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রথম ধাপে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছিল প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা। কিন্তু নকশা সংশোধন ও সময়সীমা বাড়ানোর কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৩ কোটি টাকায়।

কাজের ধীরগতির কারণে মেয়াদ ৪ দফা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৭ বছরে এসে মাত্র ৩০–৫৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সময়মতো কাজ শেষ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু নির্মাণে বিলম্বের প্রধান কারণ হলো- জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, নকশা পরিবর্তন ও সংশোধন, নদীতে দীর্ঘসময় পানি থাকায় কাজের সুযোগ না পাওয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি। বর্তমানে এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড যৌথভাবে কাজটি পরিচালনা করছে।

এদিকে, পুরনো বেইলি সেতুর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে একমুখী ও সীমিত যান চলাচল করায় প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতির কারণে শুধু সময় ও ব্যয়ই বাড়ছে না, বরং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে পুরনো সেতুতে। তারা দ্রুত নতুন সেতুর কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।