রংপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করায় ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

রংপুর বিভাগের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করে উল্লেখ করেন, রংপুর বিভাগে ৮১২টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুসারে ১৮টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। 

শুনানি শেষে আদালত রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। আদালত আদেশে বলেছেন, বিভাগীয় কমিশনার আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।

আদালত অপর এক আদেশে, দুই সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ মে ‍দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। 

আদালতে শুনানিতে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক ১৫৫ টি অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ১টি ইটভাটাও বন্ধ করেননি, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ৮৬ টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৭টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করেছেন, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ১৭৫ টি অবৈধ ইট ভাটের মধ্যে ১০টি বন্ধ করেছেন, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ২৪টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করেছে।

এর আগে সারা দেশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধ চেয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় এইচআরপিবি একটি আবেদন দায়ের করলে আদালত রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে আদালতের আদেশ মত পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।

রিট মামলায় আবেদনকারী হলেন- এইচআরপিবির পক্ষে এডভোকেট ছারওয়ারা আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। অপরদিকে বিবাদীরা হলেন, সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সচিব পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, সচিব জণপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনেরসহ মোট ২১ জন।

আদালতে রিটের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এএজি কালিপদ মৃধা।