সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের রিমান্ড শুনানি শনিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির রিমান্ড শুনানি শনিবার (১৭ মে) অনুষ্ঠিত হবে। মামলার তদন্তে অগ্রগতি আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান রিমান্ড আবেদনটি দাখিল করেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত আসামিদের আদালতে হাজির করে শুনানির দিন ধার্য করেন।

গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন, মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) এবং ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)। 

এর আগে তাদের বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন বিকালে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রনেতা সাম্য তার দুই বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে একটি পুরনো ফোয়ারা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে, ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা হামলাকারী তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

ধাক্কার পরপরই সাম্য ও তার সঙ্গীরা কারণ জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। ইট, কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে পিটিয়ে সাম্যর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এরপর এক হামলাকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যের ডান পায়ের রানে উপর্যুপরি আঘাত করে। অপর এক হামলায় তার বন্ধু আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের ডান হাতের কবজিতে আঘাত করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।