রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মধ্যরাতের বেড়ানো শেষে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১২টার পর। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিতভাবে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাফি জানান, তারা তিনজন— সাম্য, রাফি এবং মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ— একটি মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের হালকা ধাক্কা লাগে। ওই মোটরসাইকেল এবং আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল থেকে মোট ১০ থেকে ১২ জন যুবক এসে তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ায়।
রাফির আরও জানায়, ‘প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, তারপর হঠাৎ করে তারা আমাদের মারধর শুরু করে। আমরা আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কিন্তু এরই মধ্যে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাঁর শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে। বলা যায়, ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন রাফি। তিনি বলেন, ‘আমরা ৬-৭ বছর একসঙ্গে পড়েছি। আমাদের সম্পর্কটা কেবল বন্ধুত্বের ছিল না, ভাইয়ের মতো ছিলাম।’
সাম্য হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করছে। আজ বুধবার জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে ফুঁসে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাম্য হত্যার তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। একইসঙ্গে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে।
সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার চায় ইসলামী আন্দোলন