রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি বুধবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত মুলতবি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ওই দিন পলাতক আসামিদের পক্ষে নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্সের বক্তব্য শুনবেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আসামি সাবেক প্রক্টর শরিফুলসহ আটক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
এই মামলার অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করেন তারা।
এদিকে, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় সরকারি খরচে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে আগে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবীর মধ্যে একজনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে ৬ আসামি বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ, পুলিশ মিলে আবু সাঈদকে হত্যা করে মূল ঘটনা আড়াল করতে বারবার সুরতহাল রিপোর্ট পরিবর্তন করা হয়।
গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়।