বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসে অপহরণ, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে বালি দাবি করেন, সাঈদী একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আমি তার জানাজায়ও গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে ২০১২ সালে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আনা হলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় এবং ২ মাস ১৭ দিন গুম করে রাখা হয়। পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানকার একটি জেলে প্রায় পাঁচ বছর বন্দি জীবন কাটাতে হয় তাকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বালি বলেন, তাকে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়া হয়েছিল।
বালির আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, এই অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও হায়দার আলীসহ মোট ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধ মামলায় দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এই মামলায় সুখরঞ্জন বালির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।বর্তমানে বালি মুক্তভাবে দেশে ফিরেছেন এবং আইনি প্রতিকার চেয়ে নিজ উদ্যোগে ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।