বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় পেছানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রায় দেওয়ার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা স্থগিত করে দিয়েছেন আদালত।
এদিন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রায় শুনতে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু বিচারক মুহা. আবু তাহের রায়ের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করলে পরে তিনি আদালত ত্যাগ করেন। পরবর্তী রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
এই মামলাটি ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপপরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার সম্পদের বিবরণীতে জ্ঞাত আয়ের বাইরে দুইটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয়ের প্রকৃত তথ্য গোপন করেন।
ঢাকার রায়েরবাজারে ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে নির্মিত বাড়ির ব্যয় দেখানো হয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগের হিসাব অনুযায়ী এই ব্যয় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা কম, যা দুদকের ভাষায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।
এছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, তার ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং এটিও সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত করে দুদক। গয়েশ্বরের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ আগস্ট যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ২৮ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। তবে এখন তা পিছিয়ে দেওয়া হলো। দুদকের কৌঁসুলি আহমেদ আলী সালাম জানিয়েছেন, রায় প্রস্তুত না থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
আসন্ন ৪ সেপ্টেম্বর মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী দুর্নীতির অভিযোগের নিষ্পত্তি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।