বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার রায় পড়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনার-১ এ রায় পড়া শুরু হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলার একমাত্র আসামি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যিনি উপস্থিত রয়েছেন আদালত কক্ষে। রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে তাকে বিমর্ষ মুখে চুপচাপ রায় শুনতে দেখা গেছে। ৬ ভাগে বিভক্ত ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ছেন বিচারক। রায়ে শেখ হাসিনার কল রেকর্ড, জাতিসংঘের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা।
শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। একই সঙ্গে ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় স্ক্রিনে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রচার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। সকালে কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়।