ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম ওরফে দাউদ খান সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, মেঘালয় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ফয়সালকে সহায়তা করা তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও ফয়সালের অবস্থান নিয়ে আমাদের মনে সন্দেহ ছিল। তবে এখন আমরা নিশ্চিত যে তিনি দেশে নেই, বর্তমানে ভারতের মেঘালয়ে অবস্থান করছেন। অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাদি হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ফয়সালের বাবা, মা, স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত চলাকালে পুলিশ দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, ভুয়া নম্বর প্লেটসহ একটি মোটরসাইকেল এবং ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ২১৮ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করেছে।
তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বা ‘মোটিভ’ সম্পর্কে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু মূল পরিকল্পনাকারী ও সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম এখনো পলাতক, তাই হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তাকে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।