চলমান ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে প্রায় ১১ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২২২ জন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সহিংসতার পর এ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও ব্লক রেড দিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
সংঘর্ষ-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২৭৪টি। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত তিন হাজার ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, সহিংসতা-নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় ৩ হাজার ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে রাজধানীর আশপাশে ঢাকা জেলার ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২৬টি। এসব মামলায় ৮ জনসহ এসব থানার অধীনে গ্রেপ্তার হন ২৮৭ জন।
গাজীপুরে গ্রেপ্তার হন মোট ৫১০ জন। তার মধ্যে গতকাল গ্রেপ্তার হন ১০ জন। এদিকে নারায়ণগঞ্জে ৫ জন গ্রেপ্তার হন। এ নিয়ে মোট ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।
চট্টগ্রাম মহানগরে গত বুধবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মহানগর ও জেলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৮৯ জনে। এ নগর ও জেলার মোট ৩৪ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২০০ জনকে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ মিনারে আসতে দেখা গেছে চিকিৎসকদের। বিভিন্ন মসজিদ এলাকায় আসছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। কারওয়ান বাজার এলাকাতে সকাল থেকে জড়ো হয়েছেন সাংবাদিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিরা।