জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সংঘর্ষের পর থেকে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, সহিংসতার চিহ্ন হিসেবে সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট-পাটকেল এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। সংঘর্ষের সময় যেসব দোকানে ইট ঢুকে পড়েছিল, সেগুলোর মালিকরা সকাল থেকে দোকান খুলে সেগুলো মেরামতের কাজ করছেন।

ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শান্ত সাংবাদিকদের জানান, সকাল আটটা থেকে আমরা এখানে অবস্থান করছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবো। তিনি আরও জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা রমনা থানাসহ রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকেও এসেছেন।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হওয়া উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাত ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ার জেরে পাল্টা ধাওয়া ও লাঠিচার্জ শুরু হয়।

এ সময় আল রাজী টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেওয়া গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর। মুখমণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরের নাক ফেটে গেছে এবং মুখ ও বুকে রক্তের চিহ্ন। তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঘটনাস্থলে জনসাধারণ ও রাজনৈতিক কর্মীদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।