মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করা হয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয় , ব্যবসায়ী নূর আলী ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত শতকের আশির দশকে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমেই তার ব্যবসার শুরু হয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ‘জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য’ ইউনিক ইস্টার্নের মালিক নূর আলী ও সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকার ‘সংঘবদ্ধ প্রতারণার প্রাথমিক প্রমাণ’ মিলেছে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ এ মামলা তদন্ত করছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, নূর আলী এবং অন্যরা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২ বছরে তারা ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে। সরকারি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নূর আলীসহ অভিযুক্তরা জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন।
সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিক্যাল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফিয়ে নামে অতিরিক্ত খরচ আদায় করতো।